শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
কুখ্যাত মাদক সম্রাট মহেষখলা সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারি মাদক মামলার প্রধান আসামি মো বাবুল মিয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের হাতে আটক।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মধ্য বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করেন ডিবি পুলিশের এস আই মামুনসহ একটি দল।
এ ব্যাপারে বাবুলের ২য় স্ত্রী আখলিমা বেগম গত ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ও ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো প্রতারক বাবুল মিয়া (৩৫), নাইম মিয়া (২৫), রাসেল মিয়া (৩৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ব্রাম্মনবাড়িয়া নবীনগর থানার রসুল্লাবাদ গ্রামের আব্দুর রউফ ও জোবেদা বেগমের ছেলে বাবুল মিয়া। বিগত ১/৩/৭ ইং সনে মুসলিম শরীয়তের বিধান মতে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন মূল্য একই থানার ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে আখলিমা বেগমকে সামাজিক ভাবে বিবাহ করে। কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পর আখলিমা বেগম জানতে পারে তাকে বিয়ে করার আগে খাদিজা বেগম নামে তার আরেকটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরে জানা জানি হয়ে গেলে খাদিজা বেগমকে সে তালাক দিয়ে আখলিমা বেগমকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চাকুরির জন্য ঢাকা চলে আসেন। ঢাকায় এসে ধানমন্ডি গ্রীন রোডে রাখা বেগম নামের আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর দেড় থেকে দুই মাস সংসার করার পর রাখা বেগম বাবুল মিয়াকে তালাক দেয়। পরবর্তীতে সে সুনামগঞ্জের মহেষখলা সীমান্তে এসে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদকের ব্যবসায় মালামালসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। যার মামলা নং-ধর্মপাশা কোর্ট জি-আর ৪১/২০১৭ ইং চলমান। তার বিরুদ্ধে অপর আরেকটি মাদক মামলা জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া আবাসিক এলাকায় বাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করা অবস্থায় ডিবি পরিচয় দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের রাজার গাঁও গ্রামের দিনমজুর কাবিল মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নাইমা বেগমকে প্রায় ১৫ দিন পূর্বে বিয়ে করে। খবর পেয়ে আখলিমা বেগম সুনামগঞ্জে এসে গৌরারং ইউনিয়নের মেম্বার মহিম উদ্দীনের বাড়িতে গিয়ে বাবুল মিয়ার সাথে মিমাংসার চেষ্টা করলে বাবুল মিয়া তাদের উপর লোকজন নিয়ে ধাওয়া করে। বাধ্য হয়ে আখলিমা বেগম প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন।